১৬ পৌষ, ১৪৩২ - ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ - 30 December, 2025

সুন্দরগঞ্জে শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় আক্রান্ত বোরো বীজতলা

2 hours ago
19


হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা):

গত ১০দিন ধরে কন কনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা এবং হিমেল হাওয়ার কারণে আসন্ন বোর মৌসুমের বীজতলা আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ হতে সূর্য্যরে আলো না থাকায় কৃষকরা চরমভাবে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যে অনেক বীজতলায় সাদা ডোরাকাটা দাগ ও হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। এ অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে থাকলে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে কৃষি অধিদপ্তরের দাবি প্রতিবছর এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজমান থাকে। কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে বীজতলা পরিচর্যা ও কীর্টনাশক প্রয়োগ করলে অল্প সময়ের মধ্যে এ সমস্যা কেটে যাবে।

 সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বোর মৌসুমে উপজেলার পনের ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বোর চাষের লক্ষমাত্রা ২৬ হাজার ৭৯২ হেক্টর। সে মোতাবেক বীজতলা প্রস্তুত হয়েছে ১৫ হাজার ৬১ হেক্টর। প্রয়োজনের তুলনায় বীজতলা বেশি প্রস্তুত হয়েছে। আদর্শ বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে সোনাতন পদ্ধতিতে যেসব বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে, সেগুলো পরিচর্যা করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কেটে যাবে।

 কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি পাঁচ বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য বিভিন্ন জাতের ব্রি-ধানের বীজতলা প্রস্তুত করেছেন। গত কয়েক দিনের ঠান্ড এবং হিমেল হাওয়ার কারণে বীজতলায় সাদা ডোরাকাটা দাগ ও হলুদ বর্ণ দেখা দিয়েছে। তিনি শঙ্কায় রয়েছেন। তিনি বলেন বীজতলায় অনেক টাকা খরচ হয়েছে। বীজতলা নষ্ট হলে তার অনেক ক্ষতি হবে।

একই দাবি করে দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের মোনারুল ইসলাম বলেন, তারও দুই শতক জমির বীজতলার একই অবস্থা দেখা দিয়েছে। এই মহুত্বে মাঠ পর্যায়ের উপসহকারি কৃষি অফিসারদের তদারকি ও পরামর্শ একান্ত প্রয়োজন।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. লিটন মিয়া বলেন, প্রতিদিন কৃষকদের বীজতলা পরিচর্যা করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এখনো অনেক কৃষক আদর্শ বীজতলা তৈরি করতে চায় না। আদর্শ বীজতলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক কম।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঠান্ডার কারনে হলুদ বর্ণ এবং সাদা ডোরাকাটা দাগ হতে পারে। এতে চিন্তার কোন কারণ নাই। প্রতিদিন বিকালে বীজতলায় পানি ভর্তি করে দিয়ে, তা পরদিন সকালে বের করে দিতে হবে। সেই সাথে সকালে বীজতলার শিশির বিন্দু কাটি দিয়ে ফেলে দিতে হবে। পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। প্রয়োজনে কীর্টনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির বলেন, প্রতিবছর এ ধরনের বৈরী আবহাওয়া থাকে। ঠান্ডায় সামান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে পরবর্তীতে তা সেরে যাবে। এনিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের উপসহকারি কৃষি অফিসারগণ কৃষকদের লিফলেট বিতরণসহ পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth