পীরগঞ্জ পৈত্রিক জমি উদ্ধারে যুবতীর সংবাদ সম্মেলন
পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পৈত্রিক জমি উদ্ধারে খায়রুন নাহার সাথী নামে এক যুবতীর সংবাদ সম্মেলন করেছে।
রবিবার দুপুরে পৈত্রিক জমিতে হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও গুডাউন নির্মানের অভিযোগ এনে পীরগঞ্জ প্রেসক্লা হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খায়রুন নাহার নামে এক যুবতী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, পৌর শহরের রঘুনাথপুর মৌজা র ঢাকাইয়া পট্টিতে এস এ ৩২৭ নং খতিয়ানের ১৪১০ দাগে ক্রয় ও পৈত্রিক সুত্রে তার পিতা খায়রুল ইসলাম ২০ শতক জমির বৈধ মালিক। উক্ত সম্পত্তিতে পীরগঞ্জ বাজার মসজিদ কমিটির লোকজন দোতলা বিল্ডিং নির্মান করে হাফেজিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। জমি উদ্ধারের জন্য তার পিতা মসজিদ কমিটির সাথে যোগাযোগ করলে তার বিষয়টি আমলে নেয়নি বরং তার পিতার নামে ১০/১১ টি মামলা চাপিয়ে দেয়। এতে তার পিতা সর্বশান্ত হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। বর্তমান পরিবর্তিত অবস্থায় তার পিতা এলাকায় এসে ঐ সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার পিতাকে আদালতের সরনাপন্ন হওয়ার জন্য বলেছেন। তার পিতার আর্থিক অবস্থা এতই শোচনীয় যে, আদালতে মোকদ্দমা করার মত তার কোন সার্মথ্য নেই। এ অবস্থায় সবার সহযোগীতা চান তারা। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জমির মালিক খায়রুল, প্রতিবেশি আলম।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ বাজার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহজাহান আলী বলেন, ঐ জমি অন্য ব্যক্তি দান করেছেন। খায়রুল ইসলাম এর আগে আদালতে মামলা করেছিল। সে মামলা খারিজ হয়ে গেছে। তাছাড়া আগের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং আমরা মিলে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করেছি। এখন আবার কি ?।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশিষ্ট বিষয় আমরা দেখি না। সেজন্য আদালতে যেতে বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।