ট্রাম্প নাকি কমলা, আরব আমেরিকানরা কাকে চান
ফাইল ফটো
আমাদের ডেস্কঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গেম চেঞ্জার হতে যাচ্ছে সুইং স্টেট মিশিগান। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যের বেশিরভাগ ভোটার আরব আমেরিকান হওয়ায় এই রাজ্যের ফল পাল্টে দিতে পারে হিসেব-নিকেশ। গত শনিবার মিশিগানে কমলার হয়ে প্রথমবারের মতো প্রচারে অংশ নেন সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা। এসময় গর্ভপাত, অর্থনীতিসহ ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেন তিনি।
আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট মিশিগান। ১৫টি ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে পেনসিলভেনিয়া ও জর্জিয়ার পরেই অবস্থান এই রাজ্যের। দীর্ঘ দিন ধরে এই রাজ্য ডেমোক্র্যাট ঘেঁষা। এবারের নির্বাচনে জয় নিশ্চিতে পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন ও মিশিগানকে অন্যতম হাতিয়ার মানছে ডেমোক্র্যাট শিবির।
এই রাজ্যের গেম চেঞ্জার হতে যাচ্ছেন আরব আমেরিকান ভোটাররা। কারণ, দেশটির মোট আরব আমেরিকানদের সিংহভাগই এখানে থাকেন। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার প্রতিফলন ব্যালটে দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সেই মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে মিশিগানে নির্বাচনি প্রচার চালিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি তখন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের মাত্রা বেড়ে গেলেও তাতে ডেমোক্র্যাট নেতারা বিচলিত নন।
আরব ভোটারদের সমর্থন পেতে প্রথমবারের মতো কমলা হ্যারিসের হয়ে মিশিগানে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়েছেন সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা। এসময় গর্ভপাত, অর্থনীতিসহ ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেন তিনি।
মিশেল ওবামা বলেন, ‘যেসব ভোটাররা এখনো ঠিক করে উঠতে পারেননি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন কী দেবেন না, তাদের বলছি, এই অনিশ্চয়তা থেকে বেরিয়ে আসুন। নিজেদের প্রশ্ন করুন, ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া কতখানি যৌক্তিক। তিনি যদি আবারও দেশের প্রসিডেন্ট হন, তবে তার কদর্যতা আমাদের জীবনকে আবারও স্পর্শ করবে।’
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিশিগানে ১১ হাজার ভোটে হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে মাত্র ২ দশমিক ৮ পয়েন্টে জো বাইডেনের কাছে হেরেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট।
শনিবার মিশিগানে শুরু হয়েছে আগাম ভোট। শুক্রবার পর্যন্ত ২০ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার ভোট দিয়েছেন। ওয়াশিংটন পোস্টের জরিপ বলছে, ট্রাম্পের চেয়ে দশমিক ৩ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন কমলা হ্যারিস।