অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের ওপর চড়াও ট্রাম্প

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের ওপর চড়াও ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গতকাল মঙ্গলবার লন্ডনের উদ্দেশ্যে হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করার আগে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় অস্ট্রেলীয় এক সাংবাদিকের ওপর বেজায় চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই সাংবাদিকের নামে নালিশ করার হুমকিও দেন তিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউজে এই ঘটনা ঘটে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজের লনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের এক প্রতিবেদক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, আপনি হোয়াইট হাউজে ফেরার পর থেকে এখন কতটা ধনী হয়েছেন?
ট্রাম্প বলেন, আমি জানি না। আমি যেসব চুক্তি করেছি, সেগুলোর বেশিরভাগই আসলে ক্ষমতায় আসার আগে করা। আমার সন্তানরা এখানে ব্যবসা চালাচ্ছে।
প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে হঠাৎই ট্রাম্প নিজ উদ্যোগে হোয়াইট হাউজে নির্মাণাধীন একটি নতুন বলরুমের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বলেন, ওই জায়গাটা দেখেছেন? ওখানে হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর বলরুম। এটি নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ২৫ কোটি ডলার। আমি নিজেই এর নির্মাণকাজের টাকা দিচ্ছি, দেশ দিচ্ছে না। ১৫০ বছর ধরে এমন একটা বলরুমের প্রয়োজন ছিল, এখন তা অবশেষে হচ্ছে। এটি সবাইকে চমকে দেবে।
সাংবাদিক এরপর ট্রাম্প পরিবারের সাম্প্রতিক ব্যবসায়িক সাফল্যের প্রসঙ্গ তোলেন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প পরিবার কেবল একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্যোগ থেকেই সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার লাভ করেছে।
সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টের এত ব্যাপক ব্যবসায়িক কার্যক্রমে জড়িত থাকা কি ঠিক?
ট্রাম্প বলেন, আমি আসলে জড়িত নই, আমার সন্তানরাই ব্যবসা চালাচ্ছে। এরপরই তিনি সাংবাদিককে আক্রমণ করে বলেন, আপনি কোথা থেকে এসেছেন?
সাংবাদিক জানান, তিনি এবিসি থেকে এসেছেন।
ট্রাম্প তখন ক্ষুব্ধ কণ্ঠে আবারো বলেন, আমার মতে, আপনি অস্ট্রেলিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। তারা আমার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। আপনাদের নেতা কিছু দিনের মধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন, আমি তাকে আপনার কথা বলব। আপনি খুব খারাপ একটা উদাহরণ স্থাপন করলেন।
এরপর ট্রাম্প দ্রুত আরেক সাংবাদিককে প্রশ্ন করার সুযোগ দেন ও ওই সময় অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিককে থামিয়ে দেন। সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করার চেষ্টা করছিলেন, ট্রাম্প তখন চিৎকার করে বলেন, চুপ!
আমাদের প্রতিদিন/মাসফি