নেইমার আবার চোটে চুক্তি বাতিল হতে পারে আগামী জানুয়ারীতে
আমাদের ডেস্কঃ
গত বছরের আগস্টে ঢাক ঢোল পিটিয়ে আল হিলালে নাম লেখান নেইমার। সৌদি ক্লাবটি নাম যোগ দেওয়ার সময়ও পুরোপুরি চোটমুক্ত ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। হিলালের জার্সিতে অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করতে হয় মধ্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু যার সঙ্গে চোটের সখ্যতা, তিনি কি আর বেশিদিন চোটমুক্ত থাকতে পারেন?
সৌদি ক্লাবটির হয়ে ৫ ম্যাচ খেলার পরে জাতীয় দলের জার্সিতে গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে গিয়ে আবারও চোটে পড়েন নেইমার। সে চোটে মাঠের বাইরে ছিলেন এক বছরেরও বেশি। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ২১ অক্টোবর ৩৬৯ দিন পর মাঠে ফেরেন নেইমার। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে আল আইনের বিপক্ষে বদলি নেমে খেলেন ১২ মিনিট।
কিন্তু এবারও ভাগ্য খুব বেশি সুপ্রসন্ন ছিল না ব্রাজিলিয়ান পোস্টার বয়ের। এ প্রতিযোগিতায় পরের ম্যাচে আবারও চোট পেয়ে মাঠ থেকে উঠে যান মাঠ থেকে। অন্তত এক মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে নেইমারকে। একের পর এক চোটে নেইমারের আল হিলাল ক্যারিয়ারই শঙ্কার মুখে পড়েছে। আর তাতেই খুশির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসে।
সৌদি ক্লাবটির সঙ্গে নেইমারের চুক্তির মেয়াদ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত। কিন্তু ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ইউওএল এস্পোর্তে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারিতেই হিলালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারেন নেইমার। এরপর কোথায় যাবেন, সেটাও জানিয়েছে ইউওএল। নেইমারের নতুন গন্তব্য হিসেবে পুরোনো ক্লাব সান্তোসের কথা উল্লেখ করেছে তারা।
সদ্য পাওয়া চোট নিয়ে এক বিবৃতিতে আল হিলাল উল্লেখ করেছে, হ্যামস্ট্রিংয়ে চিড় ধরা পড়েছে নেইমারের। চিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে তাঁর মাঠে ফিরতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ লাগতে পারে। গত বছর ৯০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফিতে নেইমারকে ভেড়ানের পর এখন পর্যন্ত হিলালের জার্সিতে ৭ ম্যাচে ৪২৮ মিনিট মাঠে ছিলেন নেইমার।
ইউওএল এস্পোর্তের খবর অনুযায়ী, নেইমার যদি হিলালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন, তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে নেইমারকে ঘরে ফেরাতে আগ্রহী সান্তোস। অর্থাৎ জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতেই ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিতে দেখা যেতে পারে নেইমারকে। পুরোনো ক্লাবে ফেরার ব্যাপারে ব্রাজিলিয়ান তারকা সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে ইউওএল। নেইমার চুক্তি বাতিল না করলেও সৌদি ক্লাবটির সঙ্গে নেইমারের চুক্তির মেয়াদ এ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে আগামী গ্রীষ্মের দলবদলে নেইমারের প্রত্যাবর্তন হতে পারে ব্রাজিলের ক্লাবটিতে।
পেশাদার ফুটবলে নেইমারের যাত্রা শুরু হয়েছিল সান্তোসের জার্সিতেই। ক্লাবটির বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে এসে ২০০৯ সালে মূল দলে নাম লেখান নেইমার। সেখানে থাকতেই ইউরোপের বড় বড় ক্লাবের নজরে আসেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে যোগ দেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনাতে। কাতালান ক্লাবটিতে চার মৌসুম কাটিয়ে নাম লেখান পিএসজিতে। সেখান থেকে গত বছর যোগ দেন আল হিলালে। এরপর যদি সান্তোসে গিয়েই ক্যারিয়ারের ইতি টানেন নেইমার, তবে একটা চক্র পূরণ হবে ব্রাজিলিয়ান তারকার।