৫ মাঘ, ১৪৩১ - ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ - 18 January, 2025

তারাগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতা ও ডাংগীরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন  দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
1 month ago
202


তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:

তারাগঞ্জ ডাংগীরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও আওয়ামীলী নেতা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানা গেছে, অভিযুক্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ১৯৯৯ সালে ডাংগীরহাট স্কুল এন্ড কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন তিনি। এরপর ২০১৩ ইং সালে উক্ত প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন।  অধ্যক্ষ পদে যোগদানের পর থেকে তিনি দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ প্রদানকারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন অধ্যক্ষের  দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি বিভিন্ন সময়ে তার নিজস্ব মন গড়ানো লোককে কমিটিতে এনে প্রায় ১০ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেন। শুধু তাই নয় আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় সময়ে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হওয়ায় দলীয় এম.পি আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের সাথে সু-সম্পর্ক তৈরী করে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে প্রকল্প বরাদ্দ নিয়ে কোন প্রকার কাজ না করে  লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। চলতি বছরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ডাংগীর হাট স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে রাজনৈতিক কনসার্টে খরচ করেছেন। ছাত্র আন্দোলনে দেশের প্রেক্ষাপট পাল্টে যাওয়ার পর অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এবং প্রতিষ্ঠান চত্বরে তার পদত্যাগের দাবীতে দফায়-দফায় বিক্ষোভ করেছে। অভিযোগকারি শিক্ষার্থী আবতাবুর  ইসলাম, আহাদ, ফরিদুল ইসলাম,মিমবাবু সহ একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ডাংগীরহাট স্কুল এন্ড কলেজে দায়িত্ব নেয়ার পর সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তিনি ডাংগীরহাট-বাজারে প্রায় ২০ শতক জমিতে দোকানের একটি মার্কেট তৈরী করেছেন। রংপুরে জমি নিয়ে ৫তলা ভবন নির্মান করে ভাড়া দিয়েছেন।  চলতি বছরে বার্ষিক পরীক্ষায় ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষায় নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্তভাবে শিক্ষার্থী প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা আদায় করেন। অত্র প্রতিঠানে প্রতি বছরেই প্রায় ৭’শ থেকে ৮’শ শিক্ষার্থীর নিকট মাসিক ফি ৫০ টাকা করে নিয়ে ১১ বছরে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন। এছাড়া এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি’র ফরম পুরনে নির্ধারিত বোর্ড ফি’র চেয়ে অতিরিক্তভাবে শিক্ষার্থী প্রতি ১ থেকে দেড় হাজার করে টাকা নিয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন। অধ্যক্ষের  দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি বিভিন্ন সময়ে তার নিজস্ব মন গড়ানো লোককে কমিটিতে এনে প্রায় ১০ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেছেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা কালিন সময়ে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ দখল করে দলীয় এম.পি আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের সাথে সু-সম্পর্ক তৈরী করে এবং প্রভাব খাটিয়ে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে প্রকল্প বরাদ্দ নিয়ে কোন প্রকার কাজ না করে  লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। চলতি বছরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আগে এমপি নির্বাচনের সময় অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ডাংগীর হাট স্কুল এন্ড কলেজের নামে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে রাজনৈতিক কনসার্টে খরচ করেছেন। ছাত্র আন্দোলনে দেশের প্রেক্ষাপট পাল্টে যাওয়ার পর অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করার পর দফায়-দফায় বিক্ষোভ করেছেন। অভিযোগকারি শিক্ষার্থী আবতাবুর  ইসলাম, আহাদ, ফরিদুল ইসলাম,মিমবাবু সহ একাধিক জানায়, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ডাংগীরহাট স্কুল এন্ড কলেজে দায়িত্ব নেয়ার পর সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তিনি ডাংগীরহাট-বাজারে প্রায় ২০ শতক জমিতে দোকানের একটি মার্কেট তৈরী করেছেন। রংপুরে জমি কেনার পর ৫তলা ভবন নির্মান করে ভাড়া দিয়েছেন। নিজস্ব এলাকা কিসামত মেনানগরে অনেক জমি কিনেছেন।

রফিকুল ইসলামের একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিচিভ না করার তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth