কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে জনবল সংকট,ভোগান্তি রোগীদের
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটের কারনে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। প্রায় ৪ লাখ মানুষের একমাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র এ হাসপাতালে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। এতে অনেক সময় রোগীরা সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেশি খরচে বেসরকারি হাসপাতালে নিচ্ছেন চিকিৎসা সেবা।
আজ রবিবার(২২ ডিসেম্বর)সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন রোগিরা। আউটডোরে টিকিট কেটে চিকিৎসক সংকটের কারনে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ লম্বা লাইনে। অনেকে আবার অসুস্থতার কারনে লাইনে না দাঁড়িয়ে বাইরে বেশি খরচে বেসরকারি ক্লিনিকে সেবা নিচ্ছেন ।
আরও জানা যায়, জনবল সংকটে ভর্তি ও আউটডোর রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে।এতে দায়িত্বরত চিকিৎসরা রোগীর চাপ সামলাতে অতিরিক্ত কাজ করছেন।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাব সেন্টারসহ মেডিকেল অফিসার( চিকিৎসক) মোট পদের সংখ্যা ১৬ টি থাকলেও ১১ টি পদ শূণ্য, কনসালটেন্ট মোট পদের সংখ্যা ১০ টি থাকলেও ৫ টি পদ শূন্য, সহকারী সার্জন ৫ টি পদ থাকলেও শূণ্য ৪ টি পদ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদটি চার বছর ধরে শূণ্য রয়েছে, এছাড়াও সর্বমোট ১৪৯টি বিভিন্ন পদে শূণ্য রয়েছে ৫০ টি পদ।
মাগুড়া এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মতিয়ার রহমান বলেন, আমি টিকিট কেটে আউটডোরে ডাক্তার দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু চিকিৎসক না থাকার কারনে অনেকক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।হাসপাতালে এক পাশের কয়েকটা রুম চিকিৎসক নাই ফাকা এজন্য এদিকের লাইনে ভীর হয়েছে।
চিকিৎসা নিতে আসা খাদিজা বেগম বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি এখানে চিকিৎসক সংকটের কারনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এসে জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসক দেখেছে পরে সারাদিন মিলে একজন চিকিৎসক এসে রাউন্ড দিয়ে দেখে যায়।সবমিলিয়ে আমাদের চিকিৎসা পেতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিমুল মিল্লাত বলেন, হাসপাতালে জনবল সংকটের কারনে আমরা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। তবুও হাসপাতালে চিকিৎসক সহ বিভিন্ন শ্রেণির জনবল সংকট সত্ত্বেও সবাই অতিরিক্ত সময় ডিউটি করে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছে।