কুড়িগ্রামে ছাত্রদল কর্মীদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের হেনস্তা ও হত্যা হুমকির অভিযোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বহিরাগত ছাত্রদলের কর্মীদের দ্বারা ছাত্রীদের হেনস্তা ও হত্যার হুমকি দেবার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি করে বিক্ষোভ করে।
মঙ্গলবার১১ মার্চ দুপুরে ছাত্রদলের কর্মীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রীদের হেনস্তা ও হত্যার হুমকি দেন বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সেই সাথে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখা ওই শিক্ষার্থীদের ন্যায় সঙ্গত দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং তাদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার বার্তা প্রেরক লোকমান হোসেন লিমন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও হেনস্তার শিকার শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতকাল ১০ মার্চ সোমবার কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীরা ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করে। সেই মিছিলের ভিডিও ধারণ করে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল হিসেবে প্রচারের অপচেষ্টা চালান আবদুর রহমান সাব্বির নামের এক ছাত্রদল কর্মী। এই অপপ্রচার নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখে প্রতিবাদ জানায়। পরে ওই প্রতিবাদের জের ধরে আজ মঙ্গলবার আবদুর রহমান সাব্বিরের নেতৃত্বে একদল বহিরাগত শিক্ষার্থী ইনস্টিটিউটের একাধিক নারী শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হয়। তারা শিক্ষার্থীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেয় এবং শারীরিকভাবে আঘাত করার চেষ্টা চালায়।
তবে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত আবদুর রহমান সাব্বির বলেন, ওই নারী শিক্ষার্থীদের ওপর আমরা কোন ধরনের হামলা করিনি। এমনকি শারীরিকভাবে হেনস্তার যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি সঠিক নয়। বরং ওই নারী শিক্ষার্থীরা আমাদের ছাত্রদল নিয়ে নানান ধরনের খারাপ ভাষা ব্যবহার করে।আমার মা-বাবা নিয়েও গালিগালাজ করেছে। ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। আপনারা চাইলে যাচাই করে দেখতে পারেন। আমরা তাদের কিছুই করিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক সাদিকুর রহমান জানান, দেশের বর্তমান বাস্তবতায় যখন নারীরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সংগ্রাম করছে। তখন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষার্থীদের এভাবে হেনস্তা করা এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় ও উদ্বেগজনক। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ তাইজুল ইসলাম কে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।