বন্যার ক্ষতি ভুট্টা চাষের মাধ্যমে পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন গঙ্গাচড়ার চরাঞ্চলের চাষিরা

নির্মল রায়,গঙ্গাচড়া (রংপুর):
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তার চরাঞ্চলে এই বছর ব্যাপক ভুট্টার আবাদ হয়েছে। এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন নদী বিধ্বস্ত। এই ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে চাষিরা তাদের জমিতে বিভিন্ন প্রকার ভুট্টার চাষাবাদ করেছেন।
এছাড়া এবছর চরাঞ্চলে বন্যার কারণে বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হলেও ভুট্টা চাষের মাধ্যমে সে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন তারা। বন্যার পানিতে পলি জমে চরাঞ্চলের জমি বেশি উর্বর হওয়ায় ভুট্টার ফলন ভালো হয় বলে জানান চাষিরা। ভুট্টাকে ঘিরে নদী গর্ভে নিঃস্ব হওয়া হাজার হাজার মানুষের মুখে এখন সুখের হাসি।
উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর মটুকপুর এলাকার চাষি রফিকুল ইসলাম (৫৫) জানান,
এবারে তিনি প্রায় ৩ একর জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ বাজার টাকা। ভুট্টা উঠানো পর্যন্ত আরও খরচ হবে ৫০ হাজার টাকা। মোট খরচ হবে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। ভুট্টার ফলন যেভাবে হয়েছে তাতে তিনি প্রায় ৩’শ থেকে ৪’শ মণ ভুট্টার আশা করছেন। বাজারদর ভালো থাকলে লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছেন এ চাষি। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বীজ, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হাতের লাগালে থাকলে দ্বিগুন লাভ হতো বলে জানান তিনি।
একই এলাকার ভুট্টা চাষি সাজু মিয়া (৪০) জানান, ভুট্টা চাষ করে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ভুট্টার বাম্পার ফলনে তার মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যায়। ভুট্টার বাজারদর ভালো থাকলে অনেক লাভবানের আশা করছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভুট্টার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চরাঞ্চলে বেশির ভাগ ভুট্টার চাষ হয়েছে।
এ বছর ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৪শ হেক্টর । লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে ভুট্টা চাষের সম্ভাবনা দেখছেন এ কৃষি কর্মকর্তা । তিনি আরো বলেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারে ভুট্টার ফলন অনেক ভালো দেখা যাচ্ছে। মৌসুমে ভুট্টার বাজারদর ভালো থাকলে ভুট্টা চাষিরা অনেক লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।