দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন: প্রার্থীর ভিড়, তবে স্থানীয়দের অনাগ্রহ

রাবি সংবাদদাতা:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন ঘিরে চলছে সরগরম প্রস্তুতি। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষ হয়েছে গত বুধবার। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ২৩টি পদের বিপরীতে ৩৮২ জন, সিনেটের ৫টি আসনে ৮৪ জন এবং হল সংসদের জন্য ৭৫৪ জনসহ মোট এক হাজার ২৩৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
তবে এখনও কোনো দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেনি। প্রার্থীরা নিজ নিজ উদ্যোগে মাঠ গোছানোর কাজ চালাচ্ছেন। এদিকে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছেন, “শিক্ষার অগ্রগতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার স্বার্থে ছাত্রশিবির রাকসু নির্বাচনে দেশপ্রেমিক যেকোনো শক্তির সাথে ঐক্য করতে প্রস্তুত। মেধা ও সততায় গড়বো সবার ক্যাম্পাস।”
ক্যাম্পাসের বাইরে স্থানীয়দের কাছে রাকসুর এই নির্বাচন তেমন আলোচনার বিষয় নয়। তাদের মতে, এটি ছাত্রদের নিজস্ব বিষয়। অনেকের ধারণা, যারা নির্বাচিত হবেন তারা পরবর্তীতে দুর্নীতিতে জড়াতে পারেন এবং ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়েও নেতৃত্বে আসতে পারেন। যদিও দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পর রাকসু নির্বাচন হওয়ায় এর প্রভাব স্থানীয় পর্যায়েও পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রত্যাশিত এই নির্বাচন। ফলে দীর্ঘ বিরতির পর নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কী রূপে গড়ে উঠবে রাকসুর নতুন নেতৃত্ব—সেদিকেই তাকিয়ে আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।