কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপুরণ দাবি করছি একই সাথে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি…..ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মানুষদের জন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন এবং প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে সুষ্ঠু তদন্তের জোর দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে বাউল শিল্পীদের উপর হামলার ঘটনাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এই হামলাকে ‘উগ্র ধর্মান্ধদের হামলা’ বলে মনে করেন এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরসনের দাবি জানান। বুধবার ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, "আমি মনে করি বাউলদের উপর হামলা এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।" তিনি বলেন, "এটা ডেফিনেটলি বাংলাদেশের যে আবহমান এর সংস্কৃতি, গ্রামীণ বাংলার সংস্কৃতি, আমাদের বাউল যারা, তারা বাংলাদেশের মাঠে-ঘাটে প্রান্তরে এই বাউল গান গেয়ে বেড়ায়। তাদের উপর হামলা এটা একটা উগ্র ধর্মান্ধদের হামলা বলে আমি মনে করি।"
তিনি আরও বলেন, "এটা সঠিক নয়। এই ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসার পথ বেছে নেওয়ার কারো জন্যই শোভনীয় নয়। আমরা অবশ্যই এটার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করি এবং নিরসন দাবি করি।" রাজধানীর কড়াইল বস্তির অগ্নিকান্ডে সহস্রাধিক মানুষের ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, "ঢাকা শহরে অনেক বস্তি আছে, তার মধ্যে কড়াইল বস্তিটা সবথেকে বড়। এখানে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করে এবং সবাই দরিদ্র, নিঃস্ব মানুষ।"
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি জানান, "আমার বাসায় যে মহিলা রান্না করে তারো বাসা এখানে। এবং তার বাড়িটিও পুড়ে একদম নিঃশেষ হয়ে গেছে। এটা এই দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য একটা চরম আঘাত। "তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান, "আমি সরকারের কাছে দাবি করব, সরকার যেন এদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন।"
আইনের প্রয়োগ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অভাব: অগ্নিকান্ডের কারণ ও প্রতিরোধ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের নেগ্লিজেন্সি এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, "আমাদের যারা দুর্ভাগ্যক্রমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বে থাকেন, বিশেষ করে গার্মেন্টস অথবা ফ্যাক্টরি কারখানাগুলোতে, তাদের কিছুটা নেগ্লিজেন্সি, অগ্নি নির্বাপনী ব্যবস্থা অপ্রতুলতা এবং আইন না মেনে চলা—সবকিছু মিলে এই অগ্নিকান্ডগুলো ঘটে।" তিনি মনে করেন, "সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয়, সত্যিকারে অর্থে যদি আইনের প্রয়োগ হয় এবং যথাযথ অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা থাকে, তাহলে এগুলোকে এভোয়েড করা অনেক সহজ।"
কড়াইল বস্তির অগ্নিকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, "সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ঘটনাকে বের করে যদি প্রকৃতপক্ষে কোনো ব্যক্তি দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমি দাবি জানাচ্ছি।"