গঙ্গাচড়ায় গড়ে উঠছে জনবান্ধব পুলিশ

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
৫ আগষ্টের পর রংপুরের গঙ্গাচড়া মডেল থানায় যোগদান করেই থানা অনেকটা দালালমুক্ত হয়েছে। ফলে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন সাধারণ নাগরিকসহ সেবা গ্রহীতারা।গঙ্গাচড়া থানায় যোগদান করেই ওসি আল এমরান এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ওসি আল এমরানের ঘোষিত লক্ষ্য অনেকটা সফলও হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অনেক ভুক্তভোগী ও সেবা গ্রহিতা। যা পুলিশের ভাবমূর্তির আমুল পরিবর্তন এসেছে এবং সাধারণ মানুষের কাঙ্খিত জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে উঠছে।
থানায় সেবা নিতে আসা মটুকপুর গ্রামের আমিন মিয়া (৫৭) বলেন, সম্প্রতি আমি একটি অভিযোগ নিয়ে থানায় এলে ওসি স্যার খুব আন্তরিকভাবে আমার অভিযোগ শুনেন।
থানা এলাকায় মাদক ও জুয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলে নিয়মিত পুলিশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে অনেক মাদক ব্যবসায়ী জুয়াড়ী ও অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে। ফলে অনেকাংশেই কমে এসেছে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
এ বিষয়ে মর্ণেয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গাগড়া এলাকার স্বপন মিয়া (৩৫) বলেন, ভাঙ্গাগড়া এলাকায় একসময় ঘরে ঘরে মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগীরা ছিল। বর্তমান ওসির আমলে সে অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে।
উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান গ্রামের মন্টু চন্দ্র (৩৮) বলেন, সম্প্রতি আমি একটা বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে থানায় যাই। তখন ওসি স্যার নিজে বিষয়টি শুনে আমার সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আল এমরান বলেন, আমি যোগদান করার পর থেকে থানায় সেবা গ্রহীতা ও বিপদগ্রস্থ মানুষের জন্য আমার দরজা উম্মুক্ত করে দেই। যে কারণে কোন লোক নিয়ে সেবা গ্রহীতাকে থানায় আসতে হয়না। সরাসরি আমার সঙ্গে দেখা করে মনের কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছি। পুলিশ সুপার স্যারের নিদের্শে, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমনে কাজ করছি। অনেক মাদক ব্যবসায়ী, জুয়াড়ী ও অপরাধীকে গ্রেফতার করেছি। যতদিন থাকবো মাদকের বিরুদ্ধে ও অপরাধ দমনে কাজ করবো। দালাল ও তদবিরবাজদের প্রশ্রয় দিব না। সাধারণ মানুষের জন্য ওসির দরজা থাকবে উম্মুক্ত থাকবে।