রংপুরে সরকারী পতিত জমিতে কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠের দাবিতে এলাকাবাসির বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর মহনাগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব শালবন এলাকায় সরকারি পতিত জমিতে কবরস্থান ও ঈদগাহমাঠের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার এলাকাবাসি। একই দাবিতে তারা ডিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর আরসিসিআই মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্থাণীয় ৯টি মসজিদের প্রায় ৫ হাজার মুসল্লী বিক্ষোভ বের করে। পরে ডিসি অফিসের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করে তারা। এসময় সেখানে বক্তব্য রাখেন কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক সালেকুজ্জামান সালেক, সদস্য সচিব নবীনগর জামে মসজিদের সভাপতি এনামুল হক সরকার, পূর্ব শালবন জামেমসজিদ কমিটির সভাপতি ফজলুল করিম, হাউজিং জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির (হুমায়ুন), পূর্ব শালবন জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, বিসমিল্লাহ জামে মসজিদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন,বোতলা জামে মসজিদের সভাপতি হেকমত আলী,সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মোজাফ্ফর হোসেন মাদ্রাসার পরিচালক মোঃ মানিকুজ্জামান মানিক, খেরবাড়ী জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুসসামাদ ও সাধারন সম্পাদক মোঃ আশেক আলী, বায়তুর রহমান জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক রাসেল ইসলাম, নুর আমেনা জামে মসজিদ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সোনা ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল লতিফ, সাবেক কাউন্সিলন নুরুন্নবী ফুলু, আরজানা বেগম, মমিনুল ইসলাম মমিন, আজিজ আল জামান রুহিত, নাহিদ ইসলাম, হারুনার রশিদ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, নগরীর পূর্ব শালবনের নবীনগরে সরকারী পতিত ১ একর ৪৭ শতক জমি স্বাধীনতার পর থেকে এলাকার ল্যান্ড লর্ড হিসেবে পরিচিত একটি প্রভাবশালী মহল নিজেদের নামে লীজ নিয়ে দখল করে রেখেছে। আশ পাশের প্রায় সব জমাজমির মালিক প্রভাব শালী মহলটি। সেই সুযোগে এতদিন তারা সরকারী জমিটিকেও নিজেদের জমি বলে দাবী করে আসছিলেন। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পরে জমিটির প্রকৃত বিবরণ জানা যায়। মূলতঃ জমিটি ছিল চয়ন উদ্দীন নামের এক অবাঙ্গালীর। ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে জমিটি পতিত হিসেবে সারকারী খতিয়ান ভুক্ত হয়। যা এতদিন এলাকার জনগন জানতেন না। বিষয়টি জানার পর পূর্ব শালবন এলাকার ৯ মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং সাধারন জনগন কবর স্থান ও ঈদগাহ মাঠ বাস্তবায়েনের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির পক্ষ থেকে কবর স্থান ও ঈদগাহ মাঠের জন্য জমিটি বরাদ্দের আবেদন করা হয়। কিন্তু প্রভাবশালী মহলটি নানা ধরণের ফন্দিফিকির ও টালবাহনা করছে। মুসল্লীদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে। অবিলম্বে তারা কবরস্থান ও ঈদগাহমাঠের বরাদ্দ দেয়ার আবেদন জানান। পরে একই দাবিতে ডিসির কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, আমরা স্মারকলিপি পেয়েছি। এর আগে জমিটি আমরা পরিদর্শণ করে এসেছি। জমিটি উদ্ধার করে সেখানে কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠের ব্যপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ব্যবস্থা গস্খহণ করা হবে।