“আমরা কৃষিবিদ, আমাদের মর্যাদা চাই”—রাবিতে শিক্ষার্থীদের জোরালো মানববন্ধন

রাবি সংবাদদাতা:
“তুমি কে? আমি কে? কৃষিবিদ, কৃষিবিদ”—এই স্লোগানে মুখর ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কৃষি অনুষদের সামনের চত্বর। বিএসসি কৃষিবিদদের প্রতি চলমান বৈষম্যের প্রতিবাদে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছিল শতাধিক কৃষিশিক্ষার্থী।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে তারা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন এবং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন—দাবি আদায় না হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন হবে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, বিএসসি ডিগ্রি অর্জনের জন্য যেখানে ৪ বছর কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, সেখানে ডিপ্লোমাধারীরা স্বল্পমেয়াদি কোর্স করেই নিজেদের ‘কৃষিবিদ’ দাবি করছেন। এই অবস্থা তারা আর মেনে নেবেন না।
শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম সায়েম বলেন:
“আমাদের ৫ দফা দাবি মানা না হলে, আমরা ১ দফায় যাবো—বৈষম্যহীন কৃষি পেশার স্বীকৃতি!”
শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমাধারীদের ৮ দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি যুক্তিহীন ও পেশাদার কৃষিবিদদের জন্য অপমানজনক।
তাদের দাবি, দেশে কৃষি উন্নয়নে বিএসসি কৃষিবিদরা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং ফসলের উন্নত জাত তৈরি করে অনন্য ভূমিকা রাখছেন। অথচ, তাদের নিয়োগে পদে পদে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে। এই বৈষম্য চলতে থাকলে কৃষি খাতই একদিন মুখ থুবড়ে পড়বে।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো:
১. প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম ছাড়া কোনোভাবেই পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রাখা যাবে না।
২. নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত
৯ম গ্রেডে পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না এবং ১০ম গ্রেডের পোস্টসমূহ গেজেটের আওতার বাইরে প্রচলিত কাঠামোতেই রাখতে হবে।
৩. ১০ম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/ সমমান) চাকরিতে বিএসসি এবং ডিপ্লোমা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
৪. কৃষি। কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্নাতক ব্যতীত নামের সাথে "কৃষিবিদ" প্রত্যয় ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৫. কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর) এর অধীনেই রাখতে হবে।
এসময় ক্রপ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম শহিদের সঞ্চালনায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।