উলিপুরে ধ্বসে পড়া ব্রিজে দূর্ভোগ এলাকাবাসীর ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি কোন দপ্তর!

মেহেদী হাসান, উলিপুর (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের উলিপুরে পাউবোথর সুষ্ঠু তদারকির অভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো খনন কাজ করায় নদীর উপর নির্মিত ব্রিজগুলো দুমড়ে-মুচড়ে পড়েছে। ফলে এসব ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচলকারী আশপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন থেকে বিপাকে পরে আছে। ভেঙে পড়া এসব ব্রিজে নিজস্ব উদ্যোগে চলাচলের জন্য বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করলেও ইতোমধ্যে জরাজীর্ণ হয়ে পরায় তা আবারও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। ভোগান্তিতে পরেছে এলাকার মানুষ। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-খাট দূর্ঘটনা। এলাকাবাসীর আশংকা আসন্ন বর্ষা মৌসুমে মানুষজনকে চরম দূর্ভোগে পরতে হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ডেল্টা প্লান-২১০০ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরিবেশ, বন্যা, সেচ, মৎস চাষ, নাব্যতা, হাঁস মুরগীর খামার, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নসহ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পূনঃখনন প্রকল্পের আওতায় ব্রহ্মপূত্র নদের সংযোগস্থল হাতিয়া ইউনিয়নের বাগুয়া অনন্তপুর বাজার থেকে পান্ডুল বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৩০ কিলোমিটার বামনী নদী খনন করা হয়। চারটি গ্রুপে খনন কাজের দায়িত্ব পায় রংপুরের হাসিবুল হাসান দুইটি গ্রুপ, কুষ্টিয়ার এসই-এনইউএম-জেভি একটি ও পটুয়াখালীর মিজানুর রহমান নামের ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। নদীটি খনন করার সময় বামনী নদীর উপর নির্মিত প্রায় ২৫টি ব্রীজের সাতটিই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সে সময় পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজী পাড়া এলাকায় নির্মিত একটি পুরাতন ব্রিজ পানির স্রোতে ধ্বসে পড়ে। ফলে এ ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচলকারী আমভদ্রপাড়া, জটিয়াপাড়া, চাকলিরপাড়সহ আশপাশের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চলাচলের জন্য বাঁশ ও কাঁঠ দিয়ে বিকল্প সেতু তৈরি করা হয়। এছাড়া মাঝবিল এলাকার গঙ্গারাম নদীর উপর নির্মিত ত্রাণ ও পূনবার্সন অধিদপ্তরের নির্মিত ব্রিজটির উইং ওয়ালের মাটি সরে গিয়ে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফিজানুর রহমান বলেন, নদীর উপর ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজগুলো পূণঃনির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, এসব ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্ব উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের। বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।