চিলমারীতে ৩দিনে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থানসহ নদী ভাঙ্গনে শিকার হয়েছে প্রায় ৫০টি পরিবার

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু হওয়ার কারণে আবারো নদের ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০টি পরিবার তাদের বসত বাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও হুমকির মুখে পড়েছে ঐ এলাকার সরকারি স্থাপনাসহ শত শত আবাদি-জমি সহ বসতবাড়ি। স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, না হলে আমাদের যা কিছু আছে সবকিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বো বলে জানান তারা। উপলার চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী এলাকার ব্রহ্মপুত্রের তিব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পাউবো কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বুধবার (৪ জুন) শাখাহাতী এলাকায় দেখা গেছে, স্থানীয়রা তাদের বসত বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছন। সকাল থেকে মাথায় করে তাদের ঘরের বিচ্ছিন্ন অংশ গুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের তান্ডবে ভেঙে গেছে চিলমারী ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি পরিবার। ঐ এলাকায় আবাদি জমি, বৈদ্যুতিক তার, খুঁটি, এবং শাখাহাতী কমিউনিটি ক্লিনিকসহ হুমকি পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন দিনে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে শাখাহাতী এলাকার মমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, জাবের হোসেন, ছয়নুদ্দীন, রান্জু মিয়া, নূর আলম, রান্জু, সুজা মিয়া,ছফিয়াল সহ আরও বেশ কয়েকজনের বসতভিটা নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। তিন দিনে ভেঙে গেছে, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, ব্র্যাক অফিস। এছাড়াও গত বছর ভেঙে গেছে ৩০০ পরিবার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, ৩৫ বছর থেকে আমরা এই চরে বসবাস করে আসিতেছি, নদী ভাঙনের কারণে মানুষজন অসহায় হয়ে পড়েছেন। আমি কয়েকজন কে বসবাসের জন্য জমি দিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বসতভিটা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন, কোথায় ঠাঁই নিবেন এটায় তাদের এখন চিন্তা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, এ সংক্রান্ত মিটিং করা হয়েছে। আর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। তারা আপাতত ভাঙন ঠেকানোর জন্য যা করনীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)'র নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ভাঙন রোধে আজকে জিও ব্যাগ পাঠানো হবে।