লালমনিরহাটে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষ ; পুলিশসহ আহত ২৩

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বুড়িমারী-রংপুর মহাসড়কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির দু'জন কর্মীকে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি’র সংর্ঘষ ও থানা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি-র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার মধ্যরাতে এ সংর্ঘষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ওই সংর্ঘষে পুলিশসহ অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে এসেছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার।
পুলিশ - বিএনপি নেতা-কর্মী ও স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, ওই উপজেলার অ-বাজার এলাকা থেকে রাতে বেলাল ও সোহেল নামে বিএনপির দু'জনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করার খবরে বিএনপির কর্মী ও সমর্থকদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। রাতেই ওই দুই বিএনপি কর্মীর ১ মাস করে সাজা দেয় পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শুরু হয় ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া। বিএনপির নেতা-কর্মী থানা ভাংচুর করেন এমন অভিযোগ পুলিশের । পরে মধ্যরাতে আটক ওই দু'জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার ও সাজার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পর্যায়ক্রমে বিএনপি-র কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপলসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। মুলত গ্রেফতারের ঘটনায় অস্থিরতা তৈরী হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এসময় বিএনপি নেতা চপলসহ বিএনপির প্রায় ১৫ জনের মতো আহত বলে দাবী বিএনপির । খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
তবে বিএনপির লোকজন বলছেন, অন্যায় ভাবে দুই জন ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে আদালত বসিয়ে সাজা দেয় পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস। । ফলে পাথর ব্যবসার সাথে জড়িত লোকজন কেবল প্রতিবাদ করেছে মাত্র।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, থানায় হঠাৎ আক্রমনের ঘটনা ঘটলে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা বেশকিছু সরঞ্জামাদি নষ্ট করে দেয়। এসময় ৮ জন পুলিশ আহত হয়েছে বলে জানান তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।