ডোমারে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসুতির মৃত্যু, দেড় লাখ টাকায় রফাদফা

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার নীলফামারী:
নীলফামারীর ডোমার সেবা হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন প্রসুতির স্বজনেরা। উক্ত ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে স্বজনদের দেড় লাখ টাকায় রফাদফা করতে বাধ্য করান বলে তাদের স্বজনেরা জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রসুতির মা মিনু রানী ও স্বজনরা জানান, গত সোমবার আমারা প্রসুতি চন্দনা রানী (১৯) পানি ভেঙে যায় এবং বাচ্চা হওয়ার জন্য প্রসব বেদনা শুরু হয়। এসমস্যা নিয়ে আমরা রোগীকে সেবা হাসপাতালে ভর্তি করি সিজার করার জন্য। প্রসুতির অন্য কোন সমস্যা নেই বলে জানান ডাক্তার আইনুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় প্রসুতির সিজার করার ডাঃ আইনুল ইসলাম। এসময় রক্তপাত হতে থাকে, বিছানা ভিজে যায়। আমরা ডাক্তারকে বলি হয় রক্তপাত বন্ধ করেন না হয় রোগীকে রেফার্ড করেন, আমরা রোগীকে রংপুরে নিয়ে যাবো। ওরা রোগীকে রিলিজ করেনি, সকাল পাঁচটায় বলে আপনারা রোগীকে রংপুরে নিয়ে যান, আমরা দেখি ততক্ষণে রোগী মারা গেছে। আমরা বারবার বলার পড়েও তারা রোগীকে নিতে দেয়নি, ওরা ইচ্ছাকৃত রোগীকে মেরে ফেলেছে, আমরা বিচার চাই। ওরা জোরপূর্বক মিমাংসার কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছে, দুই একজন ছাড়া সবাই ওদের পক্ষের ছিল। কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ায় পরে আমাদের দেড় লাখ টাকা দিয়েছে।
উল্লেখ্যযে, ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্য সুন্দর খাতা গ্রামের জগনাৎ চন্দ্রের মেয়ে চন্দনা রানী।তার স্বামীর বাড়ী একই উপজেলার ডিমলা বাজার সংলগ্ন (বাবুরহাট)দীনেশচন্দ্রর পুত্র দিপক চন্দ্রর(৩০)সাথে বিয়ে হয় প্রায় দশ বছর আগে ।
তাদের তৃপ্ত চন্দ্র (৮)নামে এক পুত্র রয়েছে, সিজার করে আবারও এক পুত্র জন্ম দেয়। শিশুটি সুস্থ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা রায়হান বারি বলেন, আমরা অভিযোগ পাইনি, শুনেছি। কোন সংবাদ মাধ্যমে খবরটা প্রকাশ হলে, আমরা স্বপ্রনোদিত হয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে, তা তদন্ত করব।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মো আরিফুল ইসলাম জানান, কোন অভিযোগ পাইনি। তবে জিডি মুলে লাশ দিয়ে দিয়েছি।
সেবা হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সার্জন ডা: আইনুল হককে (০১৭৫৮১২৩৪৪৫) মোবাইল করলে তার শিশু পুত্র বলেন,ঘুমায়ে গেছে। তিনি ফোন ধরেননি।