৮ কার্তিক, ১৪৩২ - ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ - 24 October, 2025

বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসানোর প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

6 hours ago
24


ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের বালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাট বসানোর প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে বারটায় ক্লাস বর্জন করে স্কুলমাঠে বিক্ষোভ করেন বালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও দক্ষিণ বালাপাড়া সরাসরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ কর্মসূচীতে শিক্ষার্থীরা স্কুলের বাউন্ডারি নির্মানসহ শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি না থাকায় স্লোগান শুনে বিভিন্ন দিক থেকে এলাকাবাসীরা স্কুলমাঠে জড়ো হয়ে কর্মসূচীতে সংহতি জানায়।

বিক্ষোভ কর্মসূচীতে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রতি বৃহস্পতিবার ও রবিবার স্কুলমাঠে হাট না বসানো এবং সকল প্রতিবন্ধকতা প্রতিহিত করে স্কুলমাঠে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে স্কুলের বাউন্ডারি নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন বালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার রায়, দক্ষিণ বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারজু আরা, বালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশেদ।

বালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আগেও নির্মিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটিতে এখনো বাউন্ডারি নির্মান করা হয়নি যা আমাদের জন্য লজ্জা ও দুঃখের বিষয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই স্কুলের বাউন্ডারি নির্মাণের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে প্রশাসক গড়িমসি করে বলেন- এতোদিনে যেখানে প্রাচীর করা সম্ভব হয়নি সেখানে এখন কিভাবে সম্ভব। প্রশাসনের সহযোগিতার বিপরীতে মনগড়া কথায় আমি অবাক হয়েছি কিন্তু হাল ছাড়িনি। স্কুলমাঠে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে দ্রুত স্কুলের বাউন্ডারি নির্মাণ করা না হলে আগামী দিনে অবস্থান কর্মসূচির পালনের হুশিয়ারি দেন তিনি।

বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালে দুই প্রতিষ্ঠানের সকল ক্লাস স্থগিত থাকে এবং সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

কর্মসূচি শেষে একান্ত সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারী শিক্ষার্থী বলেন, স্কুলের বাউন্ডারি না থাকার কারণে আমরা নারী শিক্ষার্থীরা অনিরাপদ বোধ করি। স্কুল চলাকালে বহিরাগত বখাটে ছেলেদের হেনস্তার শিকার হই। এমন কি কোনো কোনো সময় এসব ঘটনা সংঘাত পর্যন্তও রূপ নেয়। প্রতি বৃহস্পতিবার ও রবিবার আমাদের স্কুলমাঠে হাট বসার কারণে টিফিন পিরিয়ডে মাঠে খেলাধুলা করতে পারি না এবং ছুটির সময় আমরা ইতস্ততভাবে বাড়ি ফিরি। আমরা কতদিন এভাবে পরিবেশহীন প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করবো? ফলে আমাদের জন্য স্কুলের চারপাশে বাউন্ডারি জরুরী হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth