জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তুমুল সংঘর্ষ; আহত ৮
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার মধ্য ইছাকুড়ি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধ্য ইছাকুড়ির গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নানের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে আদালতে উভয়ের পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা আছে। আদালত কর্তৃক বিরোধপূর্ন জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে ইসরাফিল ও মান্নার নেতৃত্বে ভাড়াটে লাঠিয়ালবাহিনী নিয়ে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত জমিতে দুইটি পাওয়ার টিলার নিয়ে জবরদখল করে হালচাষ করেন।
এদিকে একই দিন দুপুরে শহিদুলের স্ত্রী আশুরাসহ পরিবারের লোকজন তাদের জমিতে ধানের খড় এবং জমিতে রাখা পাওয়ার টিলার আনতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেয়। এনিয়ে কথাকাটাকাটি হয় এবং জমিতে হালচাষ করা একটি পাওয়ার টিলার এবং বসতঘর ভেঙে চুরমার করে ইসরাফিল এবং মান্নার লোকজন। পরে এনিয়ে একপর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ।
ঘন্টাব্যাপী চলা তুমুল সংঘর্ষে দু’পক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত ৮ জন আহত হন। আহতরা হলেন, আশুরা বেগম, মজনু মিয়া, ছামছুল হোদা, তাহমিনা আক্তার, রাজা মিয়া, আবুল হোসেন, আব্দুস সবুর, আনারুল।
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বলেন, আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও প্রতিপক্ষ ইসরাফিল-মান্নার লোকজন অবৈধভাবে এবং আইন অমান্য করে হালচাষ করছেন। এ নিয়ে থানা গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করে সত্যতা পান।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।