গঙ্গাচড়ায় শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে লেপ তোষকের চাহিদা
নির্মল রায়:
অগ্রায়ণ মাসের শুরুতে উত্তরের জেলা রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তেমন শীত না আসলেও প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে শীতের হিমেল হাওয়া। আস্তে আস্তে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। আর এরই সঙ্গে ব্যস্ততা বাড়ছে লেপ তোষক তৈরির কারিগরদের।
কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে পড়ছে ভোরের সকাল। সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। পাতলা কম্বল বা কাঁথায় মানছে না শীত।
তাই হিমেল ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন লেপের উষ্ণতার। শীতের তীব্রতা বাড়ার আগেই মানুষ ভিড় জমাচ্ছে লেপ তোষক তৈরির দোকান গুলোতে। দিনে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে সকালে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে শীত। তাই এ উপজেলার লেপ-তোষক তৈরির দোকানে আস্তে আস্তে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। আর এর সঙ্গে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন লেপ-তোষকের কারিগররা । শীতের আগমনে দোকানগুলোতে লেপ-তোষক বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) গঙ্গাচড়া বাজার ও আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেউ দোকানে বসে আবার কেউ গ্রামে গ্রামে ঘুরে লেপ–তোষক বানাচ্ছেন বা পুরোনো লেপে নতুন তুলা মিশিয়ে নবায়নের কাজ করছেন।
গঙ্গাচড়া বাজারের লেপ–তোশক ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম (৫৫) জানান, কয়েক বছর ধরে এই কাজ করছি। এখন শীতের শুরু, তাই কাজের চাপ একটু বেশি। লেপের কাপড় গজে ৫০–৭০ টাকা, তোষকের কাপড় ৬০–১৩০ টাকা। গার্মেন্টসের তুলা ৬০–১৭০ টাকা কেজি, শিমুলের মুল তুলা ৪৫০ টাকা কেজি। লেপ তৈরির মজুরি ৩০০–৪০০ টাকা, তোষক ২৫০–৩০০ টাকা।’
তিনি আরো বলেন, এখন তুলার দাম অনেক বেড়েছে। লেপ–তোশক বানানোর উপকরণের দাম বাড়ায় আগের মতো লাভ থাকে না।
বাজারে দেখা হয় নোহালী ইউনিয়নের বৈরাতী গ্রামের গৃহিণী ফরিদা বেগমের (৫০) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একেবারে নতুন লেপ করতে গেলে খরচ অনেক বেশি পড়ে। তাই পুরোনো লেপে কিছু নতুন তুলা মিশিয়ে নিচ্ছি। এতে খরচ অর্ধেকের মতো কমে গেছে।’
কারিগররা জানান, শীত বাড়ার সাথে সাথে লেপতোষকের চাহিদা বেশি হওয়ায় দিন–রাত পরিশ্রম করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।