২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ - ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ - 12 December, 2025

কুড়িগ্রামে স্ত্রীকে দিয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের মামলা

7 hours ago
38


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:  

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নে ভাইয়ের কাছে জমি বিক্রি করে রেজিষ্ট্রি না দিয়ে ১০ বছর পর স্ত্রীকে দিয়ে জবর দখলের মামলা করেছে বড় ভাই। স্ত্রী সন্তান নিয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার পথে ছোট দুই ভাই।

জানাযায়, বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামের আয়নাল হক ও তার স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন কাজের প্রয়োজনে সিরাজঞ্জ বেলকুচিতে থাকেন। সেখানে বসতবাড়ি করার লক্ষে তাদের স্বামী স্ত্রীর নামে থাকা পূর্বকেদার গ্রামে ১৪ শতক জমি বিক্রি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ২০১৪ সালে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় প্রতিবেশীর উপস্থিতিতে ছোট ভাই রতন ও হযরত আলীর নিকট সেই ১৪ শতক বিক্রি করেন। জমি বিক্রর কিছু টাকা স্থানীয়দের উপস্থিতিতে নগদ গ্রহণ করেন আবার কিছু টাকা তার ব্যাংক এ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেন। এদিকে ২০১৪ সালে মৌখিক ভাবে জমির বায়না পত্র হওয়ার পর রতন ও হযরত আলী ওই জমিতে মাটি কেটে উচু করে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে টাকা নেয়া শেষ হলে বড় ভাই আয়নাল হক ও স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন জমি রেজেষ্ট্রি করে দিতে টালবাহানা শুরু করেন। এ নিয়ে কয়েক দফা গ্রাম্য শালিস বসলেও তা মানেননি বড় ভাই আয়নাল হক। উপরন্ত তার নিজের নামে ৭ শতক জমি ১৮ আগষ্ট ২৪ সালে তার স্ত্রীর নামে রেজিষ্টারি করে দেন।

আয়নাল হকের স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন জমি জবর দখল সহ কিছু ফলজ বৃক্ষ ও ২৪০ সুপারীর গাছ উল্লেখ করে কুড়িগ্রাম আদালতে ৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। সেই পিটিশন মামলাটি তদন্ত কচাকাটা থানায় আসলে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন এসআই মোফাখাখারুল ইসলাম।

বিবাদী রতন মিয়ার অভিযোগ করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা সত্য রিপোর্ট না লিখে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বড় ভাইয়ের জমি এগারো বছর আগে কিনে নিয়ে তারা দুই ভাই বাড়ি করেছেন। এখানে দুই ভাইয়ের মোট পাঁচটি ঘর রয়েছে। সাত শতক জমিতে পাঁচটি ঘর থাকার পর কিভাবে ৪৫০টি সুপারীর গাছ থাকে। এছাড়া কয়েকটি আমগাছ, জাম ও কাঠাল গাছের উল্লেখ করেছে তদেন্তে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা তার এবং স্থানীয়দের কথা না শুনেই মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছেন। যেখানে মামলার আর্জিতে বাদী ২৪০ থেকে ২৫০টি সুপারীর গাছ উল্লেখ করেছেন সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা তা বাড়িয়ে ৪৫০টি সুপারীর গাছ লিখেছেন।

স্থানীয় আনোয়র হোসেন, জহির উদ্দিন বলেন, এক বিঘা জমিতে (৩২ শতক) সর্বমোট ৪০০ সুপারীরর গাছ লাগানো যায়। সেখানে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৪ শতক জমিতে ৪৫০টি গাছ লিখে দিয়েছেন। এটা পুরো মিথ্যা কথা। এই জমির পূর্ব মালিক ৬০-৭০টি সুপারীর গাছ রোপন করেছিলেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৪ শতক জমিতে ৫টি ঘরের দুটি পুরাতন বাড়ি রয়েছে। ১টি আম গাছ ও ৬৫টি সুপারীর গাছ রয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ঝর্ণা খাতুনের স্বামী আয়নাল হকের মোবাইল ফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি ভাইদের কাছে টাকা নেয়া কথা স্বীকার করলেও জমি বিক্রি করার কথা অস্বীকার করেছন।

মামলাল তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মোফাখাখারুল ইসলাম জানান, মামলা তদন্ত করে সঠিক রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। বিবাদী যে অভিযোগ তুলেছে তা সত্য নয়। জমি কেনার কোন তথ্য প্রমান তারা দেখাতে পারেননি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth