রাবি সংবাদদাতা:

বিএসএফ কর্তৃক স্বর্ণা দাস ও শ্রী জয়ন্তকে নির্মমভাবে খুন এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কর্তৃক বাংলাদেশকে জঘন্য ও বেআইনী হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবন থেকে মিছিল নিয়ে  সিনেট সংলগ্ন প্যারিস রোডে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময়, "দিল্লি না ঢাকা?" "আমার বুকে তিস্তার জল কাইড়া নিল কে?", "দিল্লির দাদাগিরি মানি না মানব না", "সীমান্তে লাশ কেন, কসাই মুদি জবাব দে", সীমান্তে মানুষ মরে বিজিবি কি করে?

"ফেলানী থেকে স্বর্ণা দাস, সীমান্তে আর কত লাশ?" "দিল্লির আগ্রাসন, জনগণ রুখে দাও", "জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো", "ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও", "অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন" এমনসব স্লোগান দিতে শোনা যায়।

মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ভারতের চামচারা তাদের বন্ধুত্বের নমুনা দিচ্ছে। আমরা ভারতকে হাজার টন ইলিশ পাঠালে ওরা আমাদের আবরার, স্বর্ণা, জয়েন্ত, ফেলানীর মতো লাশ উপহার দিয়েছে। আমরা শেখ হাসিনা-মুদির মতো বন্ধুত্ব চাই না। বন্ধুত্ব করতে হবে দেশের সাথে  দেশের। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে তারা প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়েছে। স্বর্ণা, ফেলানীর হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের না হওয়া পর্যন্ত আমরা ভারতের সাথে বন্ধুত্বের সিদ্ধান্ত নিবে না। এতদিন পর্যন্ত যত হত্যা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রাষ্ট বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তারেক ফজল বলেন, বিএসএফ কর্তৃক সিমান্তে স্বর্ণা, জয়েন্ত খুন এবং ভারতীয় প্রতিমন্ত্রী রাজনাথ সিং কর্তৃক বাংলাদেশকে জঘন্য ও বেআইনি হুমকির প্রদানের বিরুদ্ধে এখানে রাষ্ট্রনীতি বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভারতীয় প্রতিমন্ত্রী রাজনাথ সিং কে আমরা বলতে চাই আপনি আপনার নিজের চর্কায় তেল দিন। আপনি নিজেই নিজ দেশকে বাঁচান। বাংলাদেশকে নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। একই সাথে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি একটা বুলেট ছুরা হয় তাহলে আমরা ১০টা বুলেট ছুড়বো।

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, দিল্লি না ঢাকা শ্লোগান আমাদের জন্য অবমাননাকর। আমরা ঢাকা কে দিল্লির তুলনা করতে চায়না। এখন বাংলাদেশ আর সেই পর্যায়ে নেই যে আমরা চুপ করে বসে থাকবো না। আমরা ব্যাক্তির সাথে ব্যাক্তির বন্ধুত্ব চাই না, আমরা দেশের দেশের বন্ধুত্ব চাই। বাংলাদেশ এখন আর ফ্যাসিবাদের সরকার অধীনে নেই। আজকে যে হত্যাকাণ্ড গুলো হচ্ছে তা পৃথিবীর আর কোথায় হয়না। এগুলা আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে। আমরা চাই ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে এর সুষ্ঠু বিচার করা হোক। এসময় মানববন্ধনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকসহ চার শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।