নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ২০ গ্রামের মানুষের ভাঙা চোরা সাঁকোই একমাত্র ভরসা

সিএসএম তপন নীলফামারী:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের সদর ইউনিয়নের রুপালি কেশবা গ্রামের চকচকার ঘাটে ধাইজান নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ স্বাধীনতার পূর্বোত্তর সময় ধরে দুঃখের সাগরে ভাসছে । বিকল্প পথ দীর্ঘ এবং বিড়ম্বনা রোধে বাঁশের চাটাই বিছানো সাঁকোয় যাতায়াতে একমাত্র ভরসা। অনেক সময় সাঁকো ভেঙে দুর্ঘটনায় পড়তে হয় আবার নদীতে পানি উঠলেই ভেঙ্গে যায় সাকো। স্থানীয়দের উদ্যোগে চলাচলের জন্য প্রতি বছর একটি বাঁশের সাকো নির্মাণ করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে নদীর তলদেশের জোড়াতালি সাঁকো দিয়ে কিছু সময় চলাচল করা যায়। তবে বর্ষাকালে সাঁকো বিহীন জীবনে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। এ দুর্ভোগের শেষ কোথায় কেউআ জানে না। নদীতে একটি সেতুর অভাবে এ এলাকার মানুষের ভাগ্য যেন খুলছে না। এ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কেশবা সহ কয়েকটি গ্রামের কোলঘেঁষে বহমান ধাইজান নদী ওই এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার একমাত্র ফসলি জমি মূল ভূ-খন্ড থেকে বিভক্ত করে ফেলেছে। পাশাপাশি বিভক্ত করে ফেলেছে পার্শ্ববর্তী পুটিমারী ইউনিয়নের নিকটতম যোগাযোগব্যবস্থাকে। ওই সাঁকো দিয়ে চলে না কোন ধরনের যানবাহন। সেতু না থাকায় জমিচাষা, উৎপাদিত কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া, অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে এ এলাকার মানুষকে। প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে উপজেলা পরিষদের সড়ক হয়ে মূল বাজারের সড়ক হয়ে ওই এলাকার গ্রামবাসীকে যাতায়াত করতে হয়। অপরদিকে নদীর উত্তর তীরবর্তী সাঁকো এলাকার ২০০ গজ পেরুলে মূল সড়ক।সেতু না থাকার ঘুরতে হয় প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা। কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণ, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীর স্ব-স্ব গন্তব্যে পৌঁছানো ওই ঘাট দিয়ে চলাচল সহজ এবং নিকটতম। বছররের অনেকসময় সাঁকো না থাকায় হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, থানা, মেডিকেল পশু হাসপাতালে ২ কিলোমিটার স্থলে ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়। তাই ওই জনগুরুত্বপূর্ণ ঘাটের নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দীীর্ঘদিনের দাবি এলাকাবাসীর। কেশবা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন বলেন, উত্তর পারে জনগুরুত্বপূর্ণ থানা, মেডিকেল, স্কুল-কলেজ, কেজি স্কুল, সরকারি ব্যাংক, বীমা, এনজিও, মাদ্রাসা হাট-বাজার, জনবসতি সবই আছে। এপারেও স্কুলও মানুষের বসতি রয়েছে। কাজের প্রয়োজনে দুই পারে মানুষই পারাপার হয়। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ ওই স্থানে আজও সেতু নির্মিত না হওয়ায় কৃষিসমৃদ্ধ এই এলাকায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহামুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সেখানে সেতু নির্মাণের বিষয়টি নজরে আছে। আমরা উধর্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি বরাদ্দ আসলেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।