মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও আবেদন
মহানগর প্রতিবেদক:
নাছিমা জামান ববির ইন্ধনে হিন্দু যুবক পলাশ কর্তৃক নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টার মিথ্যা মামলা হতে পরিত্রান চেয়ে মামলার আসামীগণ মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন-১ শাখা বরাবর আবেদন জমা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় নগরীর কাচারী বাজারস্থ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন জি আর-১০৩৬/২০১৭ এবং গঙ্গাচড়া জি আর-৩২৯/২০১৭ মামলার আসামীগণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধন সূত্রে জানা যায়, রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানাধীন ঠাঁকুরপাড়ায় ২০১৭ সালে নাছিমা জামান ববির ইন্ধনে হিন্দু যুবক পলাশ কর্তৃক নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে মুসলমানদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে পুলিশী নির্যাতন করেন।
এরই প্রেক্ষিতে মানববন্ধন করে বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে প্রকাশ্য তদন্ত সাপেক্ষে কোতয়ালী জি আর-১০৩৬/২০১৭ এবং গঙ্গাচড়া জি আর-৩২৯/২০১৭ মামলা দুটি ঘটনাস্থলে জনসমাবেশ করে বাতিল বলে ঘোষনা দিতে হবে। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টায় জড়িত তদন্তে প্রমানিত দোষীদের আইনের আওতায় নিতে হবে, নাছিমা জামান ববির নির্দেশে হিন্দু যুবক নিজের বাড়ীতে নিজে আগুন দিয়ে সরকারের নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও মন্দির পাকা করতে পারলে এই মামলায় সাধারণ সকল আসামীগণকে দীর্ঘ ৭/৮ বছরের নির্যাতনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করতে হবে, ৫ আগষ্ট/২০২৪ ছাত্র জনতার বিজয়ের পর আহত এবং নিহতের পরিবার যেন মামলা না করেন সেজন্য এসপি মিজান এর নেতৃত্বে এস আই ফেরদৌস স্থানীয় কুদ্দুস মেম্বার এর যোগসাজসে বিমানে করে ঢাকা নিয়ে গিয়ে অর্থের প্রলোভনসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা থেকে বিরত রাখে। জানা যায় নিহতের পরিবারে সাত লক্ষ এবং গুলিতে আহত এখন প্রায় অন্ধ মাহাবুলের বড় ভাইয়ের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা দেয়া হয়। অনতিবিলম্বে এই কুচক্রী ও ষড়যন্ত্রকারীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উক্ত মামলার নামীয় আসামী ফজলার রহমান, তৌহিদুল রহমান, এনামুল হক, রফিকুল ইসলাম, হাফেজ দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যরা।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন-১ শাখা বরাবর আবেদন জমা করা হয়। এ সময় মামলার সকল নামীয় আসামীসহ তাদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।