ফুলছড়িতে জলাবদ্ধতা নিরসনে রেগুলেটর নির্মাণ ও খাল সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে রেগুলেটর (স্লুইস গেট) নির্মাণ ও খাল সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে ফুলছড়ি উপজেলা সদরের বটতলা চৌরাস্তায় উপজেলা জলাবদ্ধতা নিরসন সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কৃষক সমাজের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগী জনসাধারণ অংশগ্রহন করেন।
সকাল ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন, ফুলছড়ি উপজেলা জলাবদ্ধতা নিরসন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রেবতী বর্মন, কমিউনিস্ট পার্টির ফুলছড়ি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রানু সরকার, সদস্য আব্দুল্লা সরকার, ইউনুস আলী, উত্তম বর্মন, সাধন চন্দ্র বর্মন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের রতনপুর এলাকার রেগুলেটরটি (স্লুইস গেট) বাঁধ সংস্কারের সময় বন্ধ করে দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই রেগুলেটর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রবেশ ও বাহির হয়ে যেত। কিন্তু রেগুলেটরটি বন্ধ করার কারণে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, উড়িয়া ও উদাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে করে মৎস্যজীবী সহ এলাকার কৃষকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তারা বলেন,
একসময় যে জমিতে তিনটি মৌসুমি ফসল হতো, জলাবদ্ধতার কারণে এখন সেখানে সারা বছর পানি জমে থাকে। চাষযোগ্য অনেক জমিতে ফসল ফলাতে না পারায় অনেক কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দেশের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। নদী থেকে মাছ প্রবেশ না করায় স্থানীয় জলাশয়গুলো মৎস্যশুন্য হয়ে পড়েছে। মৎস্যজীবীরা জীবিকার তাগিদে অন্য পেশার দিকে ছুটছেন।
বক্তারা বলেন, আমরা কয়েক বছর ধরে এ দাবিতে আন্দোলন করছি। প্রতি বর্ষা মৌসুমে একই সমস্যা দেখা দেয়। দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ না নিলে কৃষকরা জমি হারিয়ে চরম সংকটে পড়বে। এ অবস্থায় দ্রুত রেগুলেটর নির্মাণ ও স্থানীয় খালগুলো সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে স্থানীয় জনগণ। তারা বলেন, উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় দ্রুত নতুন রেগুলেটর নির্মাণ এবং বাঁধের পশ্চিম পাশের খালগুলো সংস্কার করলে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন সম্ভব। অথচ প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা অবিলম্বে রতনপুর এলাকায় রেগুলেটর নির্মাণ ও খালগুলো সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
পরে মানববন্ধনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা চত্বরে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।