২১ আশ্বিন, ১৪৩২ - ০৬ অক্টোবর, ২০২৫ - 06 October, 2025

তারাগঞ্জে খারুভাজ নদীর ব্রিজের কাজ ৪ বছরেও শেষ হয়নি

2 hours ago
39


ব্রিজের কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের তারাগঞ্জে খারুভাজ নদীর ওপর একটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ ৪ বছরেও শেষ হয়নি। প্রায় ১ বছর আগে কাজ ফেলে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় রংপুর সদর ও তারাগঞ্জ উপজেলার ২৫টি গ্রামের হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের নেকিরহাট ও রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের খারুবাদ গ্রামের মধ্যবর্তী খারুভাজ নদীর ওপর ব্রিজটির অবস্থান। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, দীর্ঘদিন থেকে ধরে ব্রিজে নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রংপুর সদর ও তারাগঞ্জ উপজেলার ২৫টি গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় এলাকার কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসলের নায্য দাম পাচ্ছেন না। উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, খারুভাজ নদীর ওপর ব্রিজটি ৫১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থ নির্মাণে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ব্রিজ নির্মাণের কাজ পায় চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী ব্রিজটি ২০২৩ সালের আগস্ট ৩১ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ওই সময়ের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ করতে না পারায় আবারো সময় বাড়িয়ে নিয়ে ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ায়ী নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু  আজ পর্যন্ত কাজ শেষ না করে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। সরেজমিনে গিয়ে সোমবার (৬ অক্টোবর) দেখা যায়, ব্রিজ নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। নেকিরহাট এলাকার আফজাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ব্রিজের কাজ বন্ধ। ঠিকাদারের দেখা নাই, সরকারি লোকজনেরও দেখা নাই। একই এলাকার ওমর আলী বলেন, ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় হামার খুবেই বিপদে আছি। খালি ব্রিজ খান খারা করি তুইছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ইউনুস আলীর মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়ায় কথা বলা যায়নি। হাড়িয়ারকুঠি ইউপি চেয়ারম্যান কুমারেশ রায় বলেন, ঠিকাদারকে আর কতবার অনুরোধ করবো ব্রিজের কাজ শেষ করুক। এখন তো ঠিকাদারের মোবাইল নাম্বার বন্ধ। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, ব্রিজটির প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ব্রিজটির কাজ শেষ করার তাগিদ বেশ কয়েকবার দেয়া হয়েছিলো। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের মোবাইল নাম্বার বন্ধ। তারপরেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।   

 

 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth