রাজারহাট-আনন্দবাজার পাকা সড়ক দ্রুত সংষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন
রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট-আনন্দবাজার পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার পাকা সড়কের সংষ্কারের কাজ স্থগিত হওয়ায় উমরমজিদ ইউনিয়নের ভূক্তভোগী বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছে। রোববার(২নভেম্বর) এ ফরকেরহাট এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গত ৫বছর ধরে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত ও খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়। এমনিতেই এই সড়কের অসংখ্য বাক, এর মধ্যে ছোট-বড় গর্ত হওয়ায় পাকা সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ছোট -বড় যানবাহনও চলাচল করতে পারছে না সড়কটি দিয়ে। ইতোমধ্যে ভাঙ্গাচুড়া সড়কটির উপর দিয়ে রোগীর এ্যাম্বুলেন্স ও অগ্নি নির্বাপন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচলও করতে পারবে না বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে তারা। ফলে প্রত্যন্ত পল্লীর অসুস্থ্ রোগী কিংবা বসত বাড়িতে আগুন লাগলে এ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিসের কোন দেখা মেলে না এ অঞ্চলে। এ বিষয়ে বার বার অভিযোগ দেয়ার পরও কোন ফলাফল পায়নি এলাকাবাসী। রাজারহাট-আনন্দবাজার পাকা সড়কটি রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ- চাকিরপশার, উলিপুরের পান্ডুল দলদলিয়াসহ প্রায় ৩০/৩৪টি গ্রামের একমাত্র চলাচলের পথ। এই পথ ধরেই এই সব গ্রামের মানুষ জেলাশহর কুড়িগ্রাম-রাজারহাট-উলিপুর ও বিভাগীয় শহর রংপুর প্রতিনিয়ত চলাচল করে। কিন্তু সড়কটির বেহাল দশা হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে এইসব গ্রামের মানুষ। তাই বাধ্য হয়ে এ এলাকার মানুষ চরম জন দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে মানববন্ধন করে পাকা সড়কটি দ্রুত সংষ্কারের জোর দাবী জানিয়েছেন। মানব বন্ধনবারীরা বলেন, আনন্দবাজার থেকে রাজারহাট পর্যন্ত সড়কটি শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি এলাকার শিক্ষা, অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটির কাজ স্থগিত থাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী মানুষ, কৃষকসহ সকল স্তরের নাগরিকেরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উল্লেখ্য, ২০২৪সালে টেন্ডারের মাধ্যমে রাজারহাট-আনন্দবাজার সড়কটির ১৪কোটি ৪৯লাখ ৪৬হাজার ১০টাকায় কাজ পায় খায়রুল ইসলাম রানা নামের ঠিকাদার। কাজ শুরু ২০২৪সালের ১লা আগষ্ট এবং শেষ হবে ২০২৬সালের ৩০ জানুয়ারী। তিনি কাজ পেয়ে এক সাব ঠিকাদারের কাছে কাজটি বিক্রি করেন। সাব ঠিকাদার কাজটি শুরু করে সড়কটির দু'ধারে এবং কালভার্ট জন্য গর্ত করে লোকসানের ভয়ে চলে যান। এ নিয়ে রিপোর্ট হওয়ার পর দীর্ঘদিন পরে কাজটি মূল ঠিকাদার খায়রুল কবির করার আশ্বাস দিয়ে রাজারহাট বাজারের মুখে কাজ শুরু করেন। সামান্য কাজ করে আর্থিক সংকট দেখিয়ে তিনিও কাজ বন্ধ করে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে রাজারহাট উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে বার বার আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হলেও কাজ করেননি ওই ঠিকাদার। এব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, প্রথম কিস্তির টাকা উত্তোলন করে কাজ করবেন বলে ওই ঠিকাদার জানিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল ইমরান বলেন- বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলা হয়েছে শীঘ্রই কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন।