উলিপুরে অবৈধ ভাবে দলিল সম্পাদনের অভিযোগ
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে অবৈধ ভাবে দলিল সম্পাদনের অভিযোগ উঠেছে। ভূমিদস্যূরা অবৈধ ভাবে দলিল সম্পাদন না করতে পারে সে কারণে সোমবার (০৩ নভেম্বর) ভুক্তভোগী মাসুদ রানা উপজেলা সাব-রেজিস্টার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উলিপুর পৌর শহরের কাচারীপাড়ার মৃত মমিনুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা বেগম, তার দুই কন্যা মোরছালিন বেগম (মেঘলা) ও মছছিরাত নাসরিন মৌনতা।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, উলিপুর মৌজার ১.১৩২৫ একর এবং গোড়াই মৌজার ১.১৪ একর মোট ২.২৭২৫ একর জমির মধ্য হইতে মুসলিম ফারায়েজ অনুযায়ী আমিসহ আমার মা ও বোনেরা মালিক। ওই জমি আইনানুগ ভাবে এখনো আমাদের মাঝে কোন প্রকার ভাগ বণ্টন সম্পাদন হয় নাই ও জমি ইসলামী ব্যাংক, কুড়িগ্রাম শাখায় মর্গেজকৃত। এ ছাড়াও ওই জমির খারিজ বাতিলের মামলাসহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জজ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, উলিপুর কুড়িগ্রামে পিটিশন মামলা নং-৬০৯/২৫ ইং ধারা ফৌজদারী কার্যিবধি আইনের ১৪৪ ধারা চলে আসছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, বিবাদীগণ আমার অন্যন্য দাগের জমি বিক্রয় করার পায়তারা করছে। ওই জমির অন্যান্য অংশীদার থাকা সত্ত্বেও ১-৩ নং বিবাদীসহ মিফতাহুল জান্নাত সৃষ্টির নামে একক ভাবে খারিজ করেন। পরে খারিজ বাতিলের মামলা করা হয়। আদালতে মামলা চলমান থাকাকালে বিবাদীগণ গোড়াই মৌজা হইতে দলিল নং- ৬৫০১/২৫ ইং তারিখ ০৬/১০/২৫ ইং মূলে ৯০.৯০ শতাংশ এবং উলিপুর মৌজা হইতে দলিল নং- ৭০৬৪/২৫ ইং তারিখ ২৭/১০/২৫ইং মূলে ০৮ শতক জমি বিক্রয় করে। তাতে মাসুদ রানাসহ অন্যান্য শরীকগণ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক কুড়িগ্রাম শাখা ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, মর্গেজকৃত জমি বিক্রি করে তারা ঋণেরর কিছু টাকা পরিশোধ করেছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্টার অহেদুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খারিজ দেখে জমি দলিল করা হয়েছে